সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরগুমানী গ্রামের দুদু মিয়া হাওলাদার বাড়িতে ১১মাসের এক শিশু সন্তানের জননী মীম (২২) নামের এক গৃহবধূকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের বিরুদ্ধে।নিহত গৃহবধূর বাড়ি উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের লেজপাতা গ্রামে। তার পিতার নাম কবির হাওলাদার।
নিহত গৃহবধূর চাচী কামারুন জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার সময় মীমের শ্বশুর বাড়ির এক লোক মিমের মামার কাছে মোবাইল করে বলে মীম আত্মহত্যা করেছে। গিয়ে দেখি ঘরে শ্বশুর-শাশুড়ী, দেবর ও ননদ কেউ নাই। পরে পাশের বাড়ির টয়লেট থেকে শাশুড়ীকে ধরে আনি।
এ সময় মীমকে পিছনের বারান্ধায় মাটিতে শোয়া অবস্থায় এসে দেখি এবং উপরে একটি দুই হাত লম্ভা পরিমান শাড়ীর কাটা অবস্থায় ঝুলন্ত বয়েছে।তিনি বলেন, যে অবস্থায় দেখেছি তাতে মীমেকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে তাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
মীমের বড় ভাই মো: এমরান কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, গত দুই তিন দিন পূর্বেও আমার ছোট বোন মাকে ফোন করে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, দেবর ছোটন ও ননদ শাহীনুরের নির্যাতনের কথা বলে কান্না কাটি করেছে।
মিমের পিতা কবির হাওলাদার জানান, বিয়ের পর কয়েক দফায় জামাই মনিরকে স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার যৌতুক দেয়া হয়েছে। আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দেয়ার জন্য স্বামী মনির, শ্বশুর জেবল হক হাওলাদার, শাশুড়ি, দেবর ছোটন এবং ননদ শাহিনুর আমার মেয়েকে প্রায়ই নির্যাতন করে আসছে।
এ নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করতে চাইলে মীম তাদের দ্বারা আরও বেশি নির্যাতন হবে বলে বাড়াবাড়ি না করার জন্য বলে। যৌতুক না দেওয়ায় শশুর বাড়ীর লোকজন ক্ষিপ্ত শুক্রবার দুপুর আড়াই টার সময় আমার মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে। অথচ তারা অত্মহত্যা করছে বলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এদিকে মিম হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপার জন্য একটি বিষেশ মহলের সহযোগীতায় স্বামী মনির, শ্বশুর জেবল হাওলাদার, শাশুড়ি, দেবর ছোটন ও ননদ শাহিনুর মীম আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। ঘটনার পর থেকে শশুর, দেবর ও ননদ পলাতক রয়েছে।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, নিহত শরীরে কোনো স্পট পাওয়া যায়নি। তবে গলার দুই পাশে দাগ রয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে এবং তদন্ত অব্যাহত থাকবে। এবং তার ননদকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
Leave a Reply